বুদ্ধের ধাতুগুলোর ডিএনএ টেস্টের জন্য আমি অনেকজনের সাথে যোগাযোগ করছি। অবশেষে নিউজিল্যাণ্ডের ওয়াইকাটো ইউনিভার্সিটি ল্যাবের প্রফেসর ফিয়োনা জানালেন তারা ডিএনএ টেস্ট করেন না, তবে রেডিও কার্বন ডেটিং করেন। কার্বন ডেটিং করে জানা যাবে এটার প্রকৃত বয়স কত। সেখানেও আবার ৫০ থেকে ১০০ বছরের মতো এদিক ওদিক হতে পারে।
তবে আমার মতে, সেটা হলেও অনেক ভালো। নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। কিছু না হলে রাজকন্যা পেলেও ভালো!
লুম্বিনীর ইউনেস্কোর গবেষণায় তো আর্কিওলজিস্টরা এখন প্রমাণ করেই দেখিয়েছেন যে বুদ্ধের জন্ম খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ অব্দে হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। ইউনেস্কোর সাইটে আমি তাই দেখি যে, তারা সেই ৬২৩ সালকেই ধরে আছেন। তাই আমি আমার ক্যালেণ্ডারে ৬২৩ সালকেই বুদ্ধের জন্ম বলে দেখিয়েছি। করুণাবংশ ভান্তে সেখানে বুদ্ধাব্দ যোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন। তা করতে গেলে আরো দুয়েকদিন সময় দিতে হবে।
সে যাই হোক, প্রফেসর ফিয়োনার মাধ্যমে আমি আরেক ইউনিভার্সিটির ল্যাবের সাথে যোগাযোগ করছি। দেখি তারা কবে জবাব দেয়। আদৌ জবাব দেবে কিনা তাই বা কে জানে!
এর মাঝে আমি মায়ানমারে দুয়েকটা ল্যাবে যোগাযোগ করে দেখেছি। তারা অনলাইনে ইমেইলে অভ্যস্ত নয়। কাজেই সরাসরি ফোন করতে হয়। একটাকে ফোন করলাম। ইংরেজি পারে কিনা জিজ্ঞেস করতেই আরেকজন লাইনে আসল। সে পরে আমাকে জানাল যে, তাদের ল্যাবে ডিএনএ টেস্ট হয় না। সে আরেকটা ল্যাবের নাম্বার দিল। সেখানে ফোন দিলাম। এক মেয়ে ধরল। জিজ্ঞেস করলাম ডিএনএ টেস্ট করা যায় কিনা। সে মহা উৎসাহে জিজ্ঞেস করল – কে কার সন্তান, কে কার ভাইবোন এগুলো টেস্ট করাবেন নাকি? আমি একটু ইতস্তত করে বললাম, আমি বুদ্ধধাতু টেস্ট করাতে চাচ্ছি। সে কাটা কাটা সুরে বলল, না, সেসব এখানে হবে না। আমি জানতে চাইলাম কেন হবে না। সে বলল, তাদের এখানে কেবল ফ্লুয়িড টেস্টের ব্যবস্থা আছে। ঐ যে বীর্য শুক্রাণু ঐসব টেস্ট করে। হাড়গোড়ের টেস্ট এখানে হয় না।
এই হচ্ছে আমার কাজ। নেই কাজ তো খই ভাজ। দেখি নিউজিল্যাণ্ডের ল্যাব থেকে কী জবাব পাই। বেশি দেরী করলে আরো অন্য ল্যাবের সাথে যোগাযোগ করব। তবে অনেক ল্যাব এগুলো টেস্ট করতে চায় না। ধর্মীয় জিনিস নিয়ে বিতর্কের মধ্যে পড়তে চায় না। কী আর করা।
আর্কিওলজি আমাদেরকে বুদ্ধের জন্মের সালের একটা নির্দিষ্ট হিসাব দিয়েছে। এখন এই বুদ্ধধাতুর ডিএনএ টেস্ট এবং কার্বন ডেটিং টেস্ট থেকেও অনেক কিছু জানা যেতে পারে।
ছবি না দিলে নাকি লোকজন পোস্টগুলো পড়ে না, লাইক দেয় না! দরকার নেই বাবা আমার লাইকের। যে গুটিকয়েকজন আমার পোস্টগুলো খুঁটিয়ে পড়ে, তাদের জন্যই আমার লেখালেখি। তারা আমি ছবি দিলেও পড়বে। না দিলেও পড়বে। আর কেউ না পড়লে আমি পড়ব। কারণ আমার লেখার সবচেয়ে বড় পাঠক হচ্ছি আমি নিজে!
