ফেসবুকে লেখালেখির সুযোগ হচ্ছে না। চাকমা ডিকশনারির ওয়েবসাইটের কাজ নিয়েই কেটে যাচ্ছে দিন। কিন্তু মাইকে ইদানিং গান শুনতে পাচ্ছি। আশেপাশে প্রচুর বিহার। সেগুলোতে মনে হয় কঠিন চীবর দান হচ্ছে। তাই গান চলছে। টুংটাং টুংটাং করে বাজায় আর গান গায়। আমি সেগুলো বুঝি না। শুধু অবাক হয়ে ভাবি এসবের মানে কী? তবে আধুনিক বার্মিজ গানগুলো খুবই ভালো মানের বলে আমার মনে হয়েছে। সুর ভালো, শিল্পীর কণ্ঠ ভালো, গৎবাঁধা পুরনো স্টাইলের নয়।
গান নিয়ে বলছি বটে, তবে আমি কিন্তু গান শুনি না। এককালে গানের পোকা হলেও এখন ভান্তে হয়েছি অনেক বছর হলো। তাই গান শোনা আর হয় না। বিনয় নিয়ম মোতাবেক ভিক্ষু শ্রমণদের গান শোনা, গান করা সবই নিষিদ্ধ। অন্যদেরকে দিয়েও গান বাজনা করাতে পারে না। এমনকি ধর্মীয় গানও নয়।
সংযুক্ত নিকায়ে বুদ্ধ বলেছেন, হে ভিক্ষুগণ, খুব কম সত্ত্বই আছে যারা নাচগান বাজনা থেকে বিরত থাকে। বেশিরভাগই নাচ গানবাজনা থেকে বিরত থাকে না। তার কারণ কী? চারি আর্যসত্যকে তারা দেখে নি বলে। তাই এটি দুঃখ বলে দেখার চেষ্টা করা উচিত। দুঃখের কারণকে দেখার চেষ্টা করা উচিত। দুঃখের নিরোধকে দেখার চেষ্টা করা উচিত। দুঃখ নিরোধের উপায়কে দেখার চেষ্টা করা উচিত। জন্মচক্রকে বাড়ানো উচিত নয়। বুদ্ধগণ ক্ষণকালও এই ভবসংসারে জন্মানোর প্রশংসা করেন না। অথচ আফসোস। লোকজন বুদ্ধের এই কথাগুলো বুঝতেই পারে না।