বট্টগামণি শ্রীলঙ্কার রাজা হওয়ার পরে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ মহাতিষ্য স্থবিরকে অভয়গিরি বিহার নির্মাণ করে দিয়েছিলেন। তখন থেকে মহাবিহার ও অভয়গিরি বিহার দুটো আলাদা নিকায় হিসেবে অবস্থান করতে থাকে। অভয়গিরি বিহার ক্রমে ক্রমে মহাযান ও বজ্রযান শিক্ষার মূল কেন্দ্র হয়ে ওঠে। মহাবিহারের ভিক্ষুরা রক্ষণশীল মনোভাবের হওয়ায় তারা অভয়গিরিবাসীদেরকে অধর্মবাদী বলত। কিন্তু তবুও অভয়গিরি বিহারের প্রচার ও প্রসার […]
Category: বৌদ্ধধর্মের ইতিহাস
বুদ্ধশাসনের ইতিহাস – ৩য় পর্ব – অধর্মবাদীদের উৎপত্তি
অশোক রাজার সময়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুর বেশধারী ৬০,০০০ ব্রাহ্মণ ও তির্থীয় সন্ন্যাসীকে ধরে ধরে গৃহী বানিয়ে দেয়া হয়েছিল। তারা তখন পাটলিপুত্র থেকে বের হয়ে রাজগৃহের নালন্দায় গিয়ে মিলিত হলো। সেখানে তারা ষড়যন্ত্র করল, ‘লোকজন যাতে বুদ্ধশাসনে যেতে না পারে, তার জন্য শাক্যদের ধর্মবিনয়কে নাশ করতে হবে। কিন্তু তাদের মতবাদ না জানলে তো তা সম্ভব নয়। কাজেই […]
বুদ্ধশাসনের ইতিহাস – ২য় পর্ব – শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধধর্ম
মহিন্দ স্থবির শ্রীলঙ্কায় আসেন দেবানং প্রিয়তিষ্য রাজার আমলে, খ্রিষ্টপূর্ব ২৫৫ অব্দে। এরপরে সেখানে অনুরাধাপুর মহাবিহার প্রতিষ্ঠা করেন। থেরবাদীদের মূল কেন্দ্র ছিল এই মহাবিহার। তখন থেকে শ্রীলঙ্কায় থেরবাদী বুদ্ধশাসন কোনো বিরুদ্ধ নিকায়ের মতবাদ শূন্য হয়ে, নির্মল ও সুপরিশুদ্ধ হয়ে জ্বলজ্বল করছিল বট্টগামণি রাজার আগ পর্যন্ত। বট্টগামণি রাজা খ্রিষ্টপূর্ব ১০৩ সালে রাজা হন। কিন্তু এর পাঁচ মাস […]
বুদ্ধশাসনের ইতিহাস-১ম পর্ব – ভারতে বৌদ্ধধর্ম
অনেকেই বলে, বৌদ্ধধর্মে এত ভাগ ভাগ কেন? সামান্য পার্বত্য চট্টগ্রামেই বৌদ্ধদের মধ্যে কত ভাগ। বনবাদী, পার্বত্যবাদী, গুরুবাদী, ধুতাঙ্গবাদী কত বাদী যে হয়ে গেল। বৌদ্ধধর্ম নাকি শান্তির ধর্ম। যে ধর্মে এত ভাগ, সেটা শান্তির ধর্ম হয় কী করে? আমার মনে হয় এর জন্য আমাদের বুদ্ধশাসনের ইতিহাস জানা দরকার। এজন্য দীর্ঘ কয়েকটি পর্বে সংক্ষিপ্ত আকারে লিখলাম। লোকজন […]