লেখালেখি করছি না অনেকদিন হলো। প্রথমে ব্যস্ত ছিলাম পালি ত্রিপিটক এ্যাপ বানানোর কাজে। আগে যেটা দিয়ে কাজ করতাম সেটার সার্চ খুব স্লো ছিল। যার ফলে কোনো একটা বিষয়ে রেফারেন্স খুঁজতে গেলে ১৫/২০ মিনিট সময় লাগত। অনেক মাথা ঘামিয়ে প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে সেটাকে আরো দ্রুত করেছি। যার ফলে এখন পুরো ত্রিপিটক, অর্থকথা ও টীকায় সার্চ করতে সর্বোচ্চ ৩/৪ মিনিট লাগে। পালি ত্রিপিটক নিয়ে আমার লেখালেখি ও স্টাডির কাজে এখন অনেক সুবিধা হয়েছে।
কিছুদিন আগে এক শ্রীলঙ্কান ভান্তে একটা কাজ দিয়েছেন। শ্রীলঙ্কান লেখায় পালি ত্রিপিটকের এন্ড্রয়েড এ্যাপ বানিয়ে দিতে হবে। এখন সেটা নিয়ে ব্যস্ত আছি। কাজেই লেখালেখি এখনো আপাতত বন্ধ থাকবে। আপনাদের সবার জন্য রইলো শুভকামনা।
*** সকল পাপ থেকে দূরে থাকুন, সকল ভালো কাজ করে যান, নিজের মনকে পবিত্র রাখুন। এই হচ্ছে সকল বুদ্ধগণের উপদেশ। ***
শ্রদ্ধেয় ভান্তেকে করজোড়ে বন্দনা নিবেদন করছি।আপনার লেখা পড়ে বুঝতে পারলাম আমব আপনাকেই মনে মনে খুঁজছি। আমি কোন নাস্তিক কিংবা অধার্মিক নই শুধু মাত্র নিজের মনের মধ্যে উকি দেয়া প্রশ্ন নিজে জেনে নিজে বুঝে অন্যদের যাতে শুদ্ধ এবং সঠিকভাবে বুদ্ধ ধর্ম প্রচার করতে পারি, সবধরনের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি। আমি গত দুই কিংবা তিন বর্ষাবাষ থেকে বেসরকারী চাকরির পাশাপাশি অষ্টশীল পালন করছি। আমার মধ্যে হঠাৎ করে বুদ্ধ ধর্ম জানার আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে আমি রাজা মিলিন্দ এবং ভান্তে নাগসেনের প্রশ্ন এবং উত্তর বইটি পড়ছি। ভাষা কঠিনতার কারণে কিছু বুঝছি কিছু বুঝতে পারছিনা। চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমার দুটো প্রশ্নের উত্তর পেলে খুশি হতাম।
১। আমি অনেক ভান্তে কিংবা দেশককে বলতে শুনি মানুষ মৃত্যুর সাথে সাথে তার অতীত জন্মের কর্মের হেতু অনুসারে সে সাথে সাথেই (সেকেন্ডের মধ্যে সম্ভবত) অন্য যোনিতে জন্মলাভ করে সেটা মানুষ কিংবা তির্যক প্রাণী যাই হোক এই যেমন মৃত্যুর সময় ক্রোধাম্বিত রাগচিত্ত নিয়ে মৃত্যুবরণ করলে সে সাপ যোনিতে জন্মলাভ করে ইত্যাদি। কিন্তু আমার প্রশ্ন যদি এই কথা সত্য হয় তবে মানুষ মৃত্যুর পরে (তার কর্মের হেতুতে) কখন নরক যন্ত্রনা ভোগ করে কিংবা কখন স্বর্গে সুখ ভোগ করে। আমরা যতটুকু জানি নরক কুলের ১ দিন মানে মানবজাতির ১ লক্ষ বছরের সমান।
২। অস্টশীলের ৮ নাম্বার শীল উচ্চা শয়না মোহা শয়ানা মানে খাট, সোফা, চেয়ার চৌকি (উচু স্থান বলতে কতটুকু উচু ), পিড়া কিংবা যেকোন উচু স্থানে আরাম আয়েশের মধ্যে অবস্থান না করার জন্য বলা হয়েছে কিনা? আমার জানা মতে উচ্চশয়ানা মহাশয়ানা মানে অতি আরাম আয়েশের সহিত (নরম গদি কিংবা নরম আরামদায়ক মেট্রেস বা বেডে) না বসা বা না শোয়ার কথা বলা হয়েছে যার কারণে ব্রম্মচর্চা বা শীল প্রতিপালনে অন্তরায় সৃষ্টি না হয়। আমার কোন ভুল ভ্রান্তি হলে ক্ষমা করবেন।
বন্দনা ভান্তে।ঠিক আছে, এ্যাপস কাজটি শেষ করে, আশা করি আবার লেখালেখি করবে আমাদের জন্য। আপনার লেখনি গুলো পড়লে ধর্মীয় বিষয়ে নতুন নতুন তথ্য পাওয়া যায়।