আপনারা হয়তো পচ্চেকবুদ্ধের নাম শুনেছেন। আপনারা হয়তো আরো শুনেছেন যে তারা বুদ্ধশূন্য কল্পে জন্মান। কিন্তু আপনারা কি জানেন এই তো আনুমানিক ২৬০০ বছর আগেও সর্বশেষ পচ্চেকবুদ্ধ হেঁটেছেন এই পৃথিবীর বুকে? আপনাদের কেমন লাগবে জানি না, তবে আমি সত্যিই অবাক হয়েছি। কখনো ভাবিনি পচ্চেকবুদ্ধগণ এই মাত্র ২৬০০ বছর আগেও পৃথিবীতে বেঁচেছিলেন।
সুত্তনিপাত অর্থকথামতে, সর্বশেষ পচ্চেকবুদ্ধ ছিলেন মাতঙ্গ পচ্চেকবুদ্ধ। তিনি রাজগৃহে অবস্থান করতেন। বোধিসত্ত্বের জন্মের পরে দেবতারা বোধিসত্ত্বকে দেখতে এলে তাদের কোলাহল শুনে তিনি জানতে পারলেন জগতে বুদ্ধ উৎপন্ন হয়েছেন। এরপরে তিনি নিজের আয়ু শেষ হয়েছে বুঝতে পেরে হিমালয়ে চলে গেলেন। হিমালয়ে মহাপ্রপাত নামে এক পর্বত আছে যেটা হচ্ছে বেশিরভাগ পচ্চেকবুদ্ধগণের পরিনির্বাণের স্থান। তিনি আকাশে উঠে সেখানে গিয়ে দেখলেন আগে পরিনির্বাপিত পচ্চেকবুদ্ধের কঙ্কাল পড়ে আছে সেখানে। তিনি সেই হাড়গোড়গুলোকে খাড়া ঢালের উপর দিয়ে ফেলে দিলেন। এরপর পাথরের উপরে বসে এই গাথা বললেন,
লোভ হিংসা অজ্ঞানতা পরিত্যাগ করে,
সংযোজনগুলোকে মার্গজ্ঞানে টুকরো টুকরো করে,
জীবনের শেষবেলায়ও নির্ভীক
গণ্ডারের মতো একাকী বিচরণই শ্রেয়। (সুত্তনি.অ.৭৪)
গাথা শেষে তিনি পরিনির্বাপিত হলেন।
এ থেকে বুঝা যায়, আজ থেকে ২৬০০ বছর আগে সিদ্ধার্থের জন্মের সময়েও রাজগিরে অন্তত একজন পচ্চেকবুদ্ধ বেঁচে ছিলেন। ত্রিপিটকে যে এরকম আরো কত তথ্য লুকিয়ে আছে কে জানে।
১. মহৌষধ জাতকে। ২. বেস্সন্তর জাতকে। ৩. ব্রাহ্মণদের নাম আছে তো। এখন মনে পড়ছে না। খুঁজতে হবে।
ভান্তে, বন্দনা।
“কতঞ্ঞূতা কতবেদী (আগামীকাল ৬ই মে বুদ্ধপূর্ণিমা)
ভূমিষ্ঠের সাথে সাথে বোধিসত্ব কি কথা বলেছিলেন? ভদন্ত পঞ্ঞাদীপ ভিক্খু। ভোর ৪.৫৬মিঃ,৪-৫-২০২০ইং, রা-জ-স্থ-লী।
বোধিসত্ব কেবল এ জন্মে নয় অতীতেও জন্মের সাথে সাথে কথা বলেছিলেন।
১। মহোসধা (মহৌষধ) বোধিসত্ব জন্মের সময় দু’টো সুগন্ধিচন্দন টুকরো হাতে ধরে ভূমিষ্ঠ হতে দেখে তার মা জিজ্ঞেস করলে বকা দিন না উত্তর দিয়েছিলেন।
২। বোধিসত্ব বেশান্তর জন্মের, জন্ম হওয়ার সাথে সাথে তাঁর মাকে দান করার মত কিছু আছে? দান করতে ইচ্ছা হচ্ছে এ কথা বলে বলে জন্ম হয়েছিলেন।
৩। বোধিসত্ব এ জন্মের “আমি জগতে অগ্র, আমি জগতে জ্যেষ্ঠ, আমি জগতে শ্রেষ্ঠ বলেছিলেন।
বোধিসত্ব জন্মের পর গণক পুরোহিত ৮জন ব্রাহ্মণের নাম-
১। ধজ ব্রাহ্মণ।
২। লক্ষণ ব্রাহ্মণ।
৩। জোতিমন্ত ব্রাহ্মণ।
৪। যঞ্ঞ ব্রাহ্মণ।
৫। সুভো ব্রাহ্মণ।
৬। সুযাম ব্রাহ্মণ।
৭। রাম ব্রাহ্মণ।
৮। সুদত্ত ব্রাহ্মণ।
সবার জ্ঞাণ ভাণ্ডার পূর্ণ হোক।”
ভান্তে, এই তথ্যগুলো ত্রিপিটকের কোথায় পাওয়া যাবে?