গতকাল একজন ভিক্ষু আসলো থাইল্যাণ্ড থেকে। সে একটা ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স করছে। আমি বললাম, তোমাকে তো বেশ স্বাস্থ্যবান দেখাচ্ছে। থাইল্যাণ্ডে ভালো খাওয়ায় মনে হয়! সে বলল, ভান্তে, কয়েকমাস আগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল। এরপর থেকে স্বাস্থ্যের দিকে একটু নজর দিতে হচ্ছে। তার কথা শুনে আমার একটু সহানুভূতি জাগল। বললাম, হাসপাতালে কে তোমাকে সেবাযত্ন করল? সে […]
Month: September 2018
১৬ প্রকার উপদ্রব
এবারে ১৬ প্রকার উপদ্রবের ব্যাপারে আলোচনা করা যাক। ত্রিপিটকে খোঁজ নিয়ে দেখলাম দুধরনের উপদ্রবের কথা বলা হয়েছে। প্রথম প্রকার উপদ্রবের কথা এসেছে বিনয়পিটকের পারাজিকা গ্রন্থে। সেখানে কুটির বা বিহার প্রতিষ্ঠা করার আগে জায়গাটা উপদ্রবহীন কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে। সঙ্ঘ গিয়ে সেটাকে পর্যবেক্ষণ করে উপদ্রবহীন বলে রায় দিলে তবেই সেখানে কুটির বা বিহার প্রতিষ্ঠা […]
২৫ প্রকার ভয়
ক্ষমাপ্রার্থনায় সাধারণত বলা হয়, তিরতনেসু কাযেন বাচায় মনসাপিচ পমাদেন কতং ভন্তে সব্বদোসং খমন্তু মে … ইত্যাদি। এর অর্থ হচ্ছে ত্রিরত্নের প্রতি দৈহিক, বাচনিক ও মানসিকভাবে কৃত আমার সকল দোষ ক্ষমা করুন, ভান্তে। এরপর প্রার্থনা করা হয়, ত্রিরত্নের প্রতি করজোড়ে বন্দনাজনিত কর্মের প্রভাবে সর্বদা অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ৯৬ প্রকার রোগ, ৩২ প্রকার দৈহিক শাস্তি, ২৫ প্রকার […]
৩২ প্রকার দৈহিক শাস্তি
অনেকদিন ধরে অনেকেই জানতে চেয়েছে ৰাত্তিংসকম্মকারণা বা ৩২ প্রকার দৈহিক শাস্তি কী কী। গতকাল একটু খুঁজে খুঁজে বের করলাম সেগুলো। তবে এখানে শুধু ২৬টি শাস্তির কথা আছে। কিন্তু ৩২টি শাস্তির কথা বলা হয় কেন তা আমার জানা নেই। চাবুক ইত্যাদি মারা এবং হাতপা কেটে দেয়া ইত্যাদির সমন্বয়ে ৩২টি হয় বলে আমার ধারণা। সে যাই হোক, […]
বৌদ্ধধর্মে সৃষ্টিতত্ত্ব -৩য় পর্ব: অদৃশ্য জগতটাকে দেখার উপায়
আমার আগের পোস্ট যারা পড়েছেন তারা এখন জানেন যে, পৃথিবীর ৯৫% – ৯৯% হচ্ছে আমাদের কাছে অদৃশ্য। বৌদ্ধধর্ম ও বিজ্ঞান উভয়ই এক্ষেত্রে একমত। পৃথিবীর সেই অদৃশ্য অংশটাকে আমরা চোখে দেখি না, কানে শুনি না, ধরতে পারি না, ছুঁতে পারি না। অথচ সেই অদৃশ্য পৃথিবী আছে, সেই অদৃশ্য জগত আছে আমাদেরই আশেপাশে। কিন্তু সেটাকে আমরা দেখতে […]
বৌদ্ধধর্মে সৃষ্টিতত্ত্ব -২য় পর্ব: এক অদৃশ্য জগতের কাহিনী
আগের লেখাতে আমি গুগলম্যাপে মাপজোখ করে দেখিয়েছিলাম যে, এক যোজন = ১২ কিলোমিটার। কিন্তু তাতে কী আসে যায়? আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি তাতে অনেক কিছু আসে যায়। মাপজোখ হচ্ছে বিজ্ঞানের অস্ত্র। তাই বিজ্ঞানের প্রথমেই আমাদেরকে মাপজোখ করতে শেখানো হয়, তাই না? আচ্ছা, এবার তাহলে কয়েকটা জিনিসের মাপজোখ বের করা যাক। ত্রিপিটকের পারাজিকা অর্থকথার ৰেরঞ্জকণ্ডৰণ্ণনায় পৃথিবী, […]
বৌদ্ধধর্মে সৃষ্টিতত্ত্ব – ১ম পর্ব: শুরু হোক এক যোজন দিয়ে
এক যোজন সমান কত? অনেকে অনেক কথা বলে। কেউ বলে ৬ মাইল, কেউ বলে ৯ মাইল। উইকিপিডিয়া বলছে, এক যোজন = ১২ কিলোমিটার। কিন্তু কীভাবে বুঝব উইকিপিডিয়ার কথা ঠিক? উইকিপিডিয়াকে আমি তেমন বিশ্বাস করি না। সেখানে অনেক উল্টোপাল্টা তথ্যও থাকে। তার চেয়ে বরং গুগল ম্যাপে মেপে দেখি। গুগল ম্যাপ খুব নিখুঁত। এতে এক জায়গা থেকে […]
সৃষ্টিকর্তা যদি নাই থাকে তাহলে আমাদের প্রথম শুরুটা হলো কীভাবে?
আপনারা হয়তো জানেন যে ইহুদি, খ্রিস্টান, মুসলিম, হিন্দু ও অন্যান্য অনেক ধর্মমতে একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন। তিনি এই পৃথিবী, আকাশ, মাটি, পানি, সাগর, জীবজগত সৃষ্টি করেছেন। তিনি আপনাকে আমাকে সৃষ্টি করে এই জগতে পাঠিয়েছেন। কিন্তু বৌদ্ধধর্মমতে সেটা একটা ভ্রান্ত ধারণা মাত্র। বৌদ্ধধর্মমতে কোনো সৃষ্টিকর্তা নেই। আমি সে ব্যাপারে পরবর্তী পোস্টগুলোতে বিস্তারিত আলোচনা করব। এখন শুধু অনেকের […]