শুধু তর্ক দিয়ে যে বাস্তবে কাজ হয় না তা এই কথোপকথন থেকে বুঝা যায়-
১ম তার্কিক একটা খালি কোকাকোলার বোতলকে দেখিয়ে বলল, এটা কী? গ্লাস, নাকি বোতল?
২য় তার্কিক: এটা গ্লাস এবং বোতল, উভয়ই।
১ম তার্কিক: আচ্ছা! তাহলে গ্লাস ও বোতল হচ্ছে একই। তাহলে গ্লাস বললে বোতল বুঝায়, বোতল বললে গ্লাসকে বুঝায়। তাই নয় কি?
২য় তার্কিক: না না। সেরকম নয়।
১ম তার্কিক: কী বলেন আপনি? তার মানে আপনি বলতে চান, গ্লাস বললে বোতলকে বুঝায় না, বোতল বললে গ্লাসকে বুঝায় না?
২য় তার্কিক: হ্যাঁ, সেটাই।
১ম তার্কিক: তাহলে গ্লাস হচ্ছে বোতল থেকে আলাদা কোনো জিনিস, আর বোতল হচ্ছে গ্লাস থেকে আলাদা কোনো জিনিস?
২য় তার্কিক: বলতে গেলে সেরকমই।
১ম তার্কিক: আর একারণেই তারা একই নয়?
২য় তার্কিক: ঠিক বলেছেন।
১ম তার্কিক: আচ্ছা, আমি মনে হয় এইবার বুঝেছি। এটার কিছু অংশ হচ্ছে গ্লাস, আর অন্য অংশ হচ্ছে বোতল।
২য় তার্কিক: আরে না। পুরোটাই হচ্ছে গ্লাস।
১ম তার্কিক: আর পুরোটাই হচ্ছে বোতল?
২য় তার্কিক: হ্যাঁ। ঠিকই ধরেছেন।
১ম তার্কিক: দাঁড়ান, দাঁড়ান। আপনি বলছেন যে পুরোটাই হচ্ছে গ্লাস, এবং পুরোটাই হচ্ছে বোতল। কিন্তু আপনি তো আগেই বলেছেন বোতল হচ্ছে গ্লাস থেকে আলাদা কোনো জিনিস। এখন যদি আপনি বলেন পুরোটাই হচ্ছে গ্লাস, এবং পুরোটাই হচ্ছে বোতল, তাহলে তো এটা বলা যায়, পুরোটাই হচ্ছে গ্লাস, এবং পুরোটাই হচ্ছে গ্লাস থেকে আলাদা কোনো জিনিস। যৌক্তিকতার খাতিরে সেরকম বলা যায় নাকি?
২য় তার্কিক: উম… সেরকমই তো বলা যায় দেখছি।
১ম তার্কিক: ভালো করে ভেবে দেখুন। আপনি বলছেন গ্লাস কোনো গ্লাস নয়। যেটা যৌক্তিকতার বিচারে অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং অসম্ভব। তাই নয় কি?
২য় তার্কিক: ……(নিশ্চুপ)।