রিপিটকের বিশুদ্ধতা রক্ষার্থে ১৯৫৪ সালে মায়ানমারে ষষ্ঠ সঙ্গীতি শুরু হয়। সঙ্গীতিকারক হিসেবে কম্বোডিয়া, ভারত, লাওস, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যাণ্ড, ভিয়েতনাম ও মায়ানমারের ২৫০০ ভিক্ষু নির্বাচিত হয়। এই সঙ্গীতিতে প্রশ্নকর্তা হিসেবে ছিলেন মহাসি সেয়াদ, যিনি ত্রিপিটকের বিভিন্ন সুত্র ও নিকায় নিয়ে একটা একটা করে প্রশ্ন করেন। এর উত্তর দেন ত্রিপিটকধর মিনগুন সেয়াদ। এরপর নির্বাচিত ভিক্ষুরা সেই অংশটুকু আবৃত্তি করেন। এভাবে দুই বছর ধরে ত্রিপিটক আবৃত্তি করার পরে এটি শেষ হয় ১৯৫৬ সালে। সেবছরই বুদ্ধের পরিনির্বাণের ২৫০০ বছর পূর্ণ হয়।
সেই ষষ্ঠ সঙ্গীতিতে অনুমোদিত ত্রিপিটক, অর্থকথা, টীকা ও অন্যান্য পালি গ্রন্থগুলো নিয়ে ৰিপস্সনা রিসার্চ ইনস্টিটিউট (VRI) একটি ত্রিপিটক সিডি (CSCD – Chattha Sangayana CD) প্রকাশ করে। তারা http://www.tipitaka.org/beng/ নামে একটি ওয়েবসাইটও তৈরি করে। এভাবে সারা বিশ্বে এখন সহজেই যেকেউ ষষ্ঠ সঙ্গায়নে অনুমোদিত ত্রিপিটক ও অন্যান্য পালি গ্রন্থগুলোকে দেখে নিতে পারে।
তবুও রেফারেন্সের সুবিধার্থে আমি এখানে সেই গ্রন্থগুলোর তালিকা দিলাম।